#Quote
More Quotes
হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ! ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল, তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল কারে দাও ডাক হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাজে ঢোল বাজে ঢাক ঐ এলো বৈশাখ! মেলা হবে খেলা হবে হবে কবি গান, বৈশাখে বাঙালির নাচে মন প্রাণ! মন নাচে প্রাণ নাচে হাসে কবি গুরু ঝড় এলে বুক কাঁপে ভয়ে দুরু দুরু!
কে কে যাবে বৈশাখী মেলায় জমবে মেলা পথে পথে সাজবে রঙিন সাজে মনের মাঝে তাকদুম তাকদুম বৈশাখী সুর বাজে। লাল সাদা শাড়িতে সাজব পহেলা বৈশাখে লাল সাদা ফুল মালা খোঁপায় নথ ঝুলাবো নাকে। হেলে দুলে গানের মাঝে হারাবো এ বেলায় নাগরদোলায় চড়ব আমি বৈশাখী বটমেলায়। পাতায় বাঁশি হাতে নিয়ে সুর ছন্দে বাজাবো হরেক রকম আনন্দে মন আঙ্গিনা সাজাবো। ফুলের মুকুট মাথায় নিবো ঠোঁটে লালের ছোঁয়া মন্ডা মিঠাই সন্দেশ মিষ্টি কিনব মুড়ির মোয়া। বৈশাখী মেলায় কে যাবে তোমরা এবার বলো? দলে দলে বন্ধু সবাই প্রাণের মেলায় চলো।
চৈত্রে দিয়া মাটি বৈশাখে কর পরিপাটি।
কাল-বৈশাখী আসেনি হেথায়, আসিলে মোদের তরু-শিরে সিন্ধু-শকুন বসিত না আসি ভিড় করে আজ নদীতীরে। জানি না কবে সে আসিবে ঝড় ধূলায় লুটাবে শত্রুগড়, আজিও মোদের কাটেনি ক’ শীত, আসেনি ফাগুন বন ঘিরে। আজিও বলির কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়া উঠেনি মন্দিরে। জাগেনি রুদ্র, জাগিয়াছে শুধু অন্ধকারের প্রমথ-দল, ললাট-অগ্নি নিবেছে শিবের ঝরিয়া জটার গঙ্গাজল। জাগেনি শিবানী- জাগিয়াছে শিবা, আঁধার সৃষ্টি- আসেনি ক’ দিবা, এরি মাঝে হায়, কাল-বৈশাখী স্বপ্ন দেখিলে কে তোরা বল। আসে যদি ঝড়, আসুক, কুলোর বাতাস কে দিবি অগ্রে চল।
ঈশানের পুঞ্জমেঘ অন্ধবেগে ধেয়ে চলে আসে বাধাবন্ধহারা গ্রামান্তরে বেণুকুঞ্জে নীলাঞ্জনছায়া সঞ্চারিয়া হানি দীর্ঘধারা। বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন, চৈত্র অবসান– গাহিতে চাহিছে হিয়া পুরাতন ক্লান্ত বরষের সর্বশেষ গান।
ওই বসন্তের কোকিলের ডাক যেন আজ ফিরে এসেছে এই বৈশাখে, বর্ষার আগমনে সাদা কাশফুলের আগমন আর তোমার সেই ব্যাকুল হাসির ঠোঁট যেন প্রকৃতির মাঝে মিশে গেছে। শুভ নববর্ষ প্রিয়।
বছর ঘুরে এলো আনন্দের দিন, পলাশ শিমুলের গাছে লেগেছে আগুন তাইতো বৈশাখের কালবৈশাখী ঝরে সবাইকে দিল ভিজিয়ে।
প্রতিটি বৈশাখ বলুক – “আবার শুরু হোক, ভালোবাসার গল্প।
আসুক বৈশাখ, চারিদিকে মেঘ, ধুয়ে যাক গ্লানি মুছে যাক পাপ ।