#Quote

হৈ ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ, ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল, তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল কারে দাও ডাক- হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ

Facebook
Twitter
More Quotes
পেঁচার ধূসর পাখা উড়ে যায় নক্ষত্রের পানে — জলা মাঠ ছেড়ে দিয়ে চাঁদের আহ্বানে বুনো হাঁস পাখা মেলে — শাঁই শাঁই শব্দ শুনি তার; এক —দুই —তিন —চার —অজস্র —অপার —। - জীবনানন্দ দাশ
আসুক বৈশাখ, চারিদিকে মেঘ, ধুয়ে যাক গ্লানি মুছে যাক পাপ ।
এসো এসো এসো হে বৈশাখ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষের দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দুর হয়ে যাক যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রু বাষ্প সুদূরে মিলাক! মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার কুজ্মটিজাল যাক দূরে যাক !
বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতী ফিরে এলো সুরের মঞ্জুরী পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে বাসন্তী রঙ শাড়ী পরে লনারা হেটে যায় - মাকসুদ
বছর ঘুরে এলো আবার পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালী তাই সেজেছে আজ নববর্ষের সাজ! জাতিভেদ ভুলে গিয়ে এক কাতারে তারা বর্ষবরনের আনন্দে হয়েছে দিশেহারা! পান্তা ইলিশ, পিঠাপুলি আর বৈশাখী মেলায় নাচে গানে উল্লাসে মঙ্গল শোভাযাত্রায়, হাল খাতার রঙে রঙিন বাজারে দোকান একই কন্ঠে তারাও গাইছে সাম্য মৈত্রের গান! এসো তাই ভুলে যাই জাতি বর্ণ বিদ্বেষ, সারা বছর মিলেমিশে থাকবো মোরা বেশ!
হৃদয়ের ঘুমন্ত ভালোবাসা জাগরিত করে, এসো হে নবীন এসো হে প্রবীন একই মঞ্চ পরে। সব জড়তা আর দৈন্যতা ঝেড়ে ফেলে, প্রকৃত ভালোবাসার প্রশান্ত আগুনে জ্বলে। হিংসার অভিশপ্ত দাবানল নগ্ন পায়ে দলে; ফুলের ভালোবাসার ডালি দাও তুলে। মার্তৃভূমির বেদনাতুর লাল-সবুজের বুকে, দেশকে রাখব মোরা ভালোবাসায়, চোখে চোখে ধর্ম-বর্ণ দল-মত নির্বিশেষে, একই সাথে থাকি সবে পরম ভালোবেসে এসো ভুলে যাই স্বার্থপরতার যত ছলনা, এই হোক নববর্ষের নবচেতনার উন্মাদনা।
নবাঙ্কুর ইক্ষুবনে এখনো ঝরিছে বৃষ্টিধারা বিশ্রামবিহীন, মেঘের অন্তর-পথে অন্ধকার হতে অন্ধকারে চলে গেল দিন। শান্ত ঝড়ে, ঝিল্লিরবে, ধরণীর স্নিগ্ধ গন্ধোচ্ছ্বাসে, মুক্ত বাতায়নে বৎসরের শেষ গান সাঙ্গ করি দিনু অঞ্জলিয়া নিশীথগগনে।
কে কে যাবে বৈশাখী মেলায় জমবে মেলা পথে পথে সাজবে রঙিন সাজে মনের মাঝে তাকদুম তাকদুম বৈশাখী সুর বাজে। লাল সাদা শাড়িতে সাজব পহেলা বৈশাখে লাল সাদা ফুল মালা খোঁপায় নথ ঝুলাবো নাকে। হেলে দুলে গানের মাঝে হারাবো এ বেলায় নাগরদোলায় চড়ব আমি বৈশাখী বটমেলায়। পাতায় বাঁশি হাতে নিয়ে সুর ছন্দে বাজাবো হরেক রকম আনন্দে মন আঙ্গিনা সাজাবো। ফুলের মুকুট মাথায় নিবো ঠোঁটে লালের ছোঁয়া মন্ডা মিঠাই সন্দেশ মিষ্টি কিনব মুড়ির মোয়া। বৈশাখী মেলায় কে যাবে তোমরা এবার বলো? দলে দলে বন্ধু সবাই প্রাণের মেলায় চলো।
ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কালবৈশাখীর ঝড় তোরা সব জয়ধ্বনি কর তোরা সব জয়ধ্বনি কর ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর প্রলয় নূতন সৃজন বেদন আসছে নবীন জীবন ধারা অসুন্দরে করতে ছেদন তাই যে এমন কেশে-বেশে মধুর হেসে ভেঙে আবার গড়তে জানে সে চির সুন্দর ।
বৈশাখে অনলসম বসন্তের খরা। তরুতল নাহি মোর করিকে পসরা পায় পোড়ে খরতর রবির কিরণ। শিরে দিতে নাহি আঁটে খুঞ্চার বসন নিযুক্ত করিল বিধি সবার কাপড়। অভাগী ফুলরা পরে হরিণের দুড় পদ পোড়ে খরতর রবির কিরণ। শিরে দিতে নাহি আঁটে অঙ্গের বসন বৈশাখ হৈল আগো মোর বড় বিষ। মাংস নাহি খায় সর্ব্ব লোকে নিরামিষ।