#Quote

চাকরিদাতার মতো আচরণ করুন কে আপনাকে বলেছে চাকরির কথা? আপনার শিক্ষক বলেছে না টেক্সট বইয়ে চাকরির কথা লেখা আছে? চাকরির কথা ভুলে যান। চাকরির চিন্তা পুরাতন আমলের ধ্যান ধারণা। এটা থেকে বের হয়ে আসুন। নিজেকে বার বার বলুন আমি চাকরি প্রার্থী নই, আমি চাকরি দাতা এবং সেই মোতাবেক চিন্তা আর আচরণ করুন। আপনি দেখবেন আপনার কাজে অসাধারণ পরিবর্তন এসেছে এবং পরিবর্তনের সুচনা হয়েছে আপনার মাথা আর চিন্তা চেতনা থেকে। আমরা সবাই জন্ম থেকেই উদ্যোক্তা এবং সবার মধ্যে উদ্যোক্তা হবার মতো যোগ্যতাও আছে। এটা আমাদের ডিনএতে আছে এবং এই ক্ষমতা ব্যবহার করেই মানুষেরা এত বছর ধরে এই পৃথিবীতে বসবাস করছে। আমরা যখন গুহাতে থাকতাম তখন আমরা এক গুহা থেকে আরেক গুহাতে চাকরি খুজতাম না। মানুষ জীবনধারণের জন্য উদ্যমী আর সমস্যা সমাধানকারী ছিল, মানুষ জন্ম নেয়নি অন্যের হয়ে কাজ করার জন্য ভুলক্রমে আমাদেরকে চাকরি প্রার্থী বানিয়ে দেয়া হয়েছে। যখনি আপনি চাকরি করা শুরু করেন তখনি আপনি আপনার বিশাল সৃজনশীল ক্ষমতাকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে অনেক কম বানিয়ে ফেললেন।

Facebook
Twitter
More Quotes by Dr. Muhammad Yunus
ক্ষুদ্রঋণ দেখিয়েছে যে আপনি কীভাবে লোকেদের কাছে পৌঁছাতে পারেন যা প্রচলিত ব্যাংকিং করতে পারে না। এটি প্রমাণ করেছে যে এটি একটি কার্যকর প্রস্তাব।
“ শিক্ষার উচিত তাকে উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হতে প্রস্তুত করা, চাকরি খুঁজতে নয়।...আমরা যদি তরুণদের চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তুলতাম, তাহলে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না ” - ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বৈষম্য কমাতে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে হবে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের যে শিক্ষা ব্যবস্থা হচ্ছে সেটা মানুষকে চাকরির দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু আমাদের উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে - ড. মুহাম্মদ ইউনূস
আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করা। মানসিকতা আমাদের উপর অদ্ভুত কৌশল খেলে। আমাদের মন আমাদের চোখকে যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে আমরা সেইভাবে জিনিসগুলি দেখি।
খুব ছোট আকারে শুরু করুন বড় কিছু তৈরির কল্পনা করুন কিন্তু শুরু করুন খুব ছোট আকারে। যতটা ছোট আকারে সম্ভব হয় শুরু করুন, আপনার এই ছোট পদক্ষেপ বড় কিছুর দিকে আপনাকে ধাবিত করবে। সুতরাং ছোট ছোট পদক্ষেপে পরিবর্তনের পথে নিজেকে চালিত করুন। এটা করাটা কঠিন নয় খুবই সহজ।
মানুষ গরিব ছিল না কারণ তারা বোকা বা অলস ছিল। তারা সারাদিন কাজ করত, জটিল শারীরিক কাজ করত। তারা দরিদ্র ছিল কারণ দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি প্রশস্ত করতে সাহায্য করেনি।
দারিদ্র্য হল সমস্ত মানবাধিকারের অনুপস্থিতি। নিদারুণ দারিদ্র্যের দ্বারা সৃষ্ট হতাশা, শত্রুতা ও ক্ষোভ কোনো সমাজে শান্তি বজায় রাখতে পারে না।
পৃথিবীর উন্নয়নের জন্য কাজ করুন আমরা আজকে যেই পৃথিবী কল্পনায় দেখতে পাই সেই পৃথিবী তৈরির জন্য কাজ করা উচিত। আমি যেমন আমার কল্পনায় একটি দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী দেখতে পাই যেখানে একটি মানুষও দরিদ্র নয়। যখন আমি সেটা করতে সমর্থ হবো তখন জায়গায় জায়গায় জাদুঘর তৈরী করা হবে, এবং যেখানে মানুষ তার ছেলে মেয়েকে নিয়ে দেখতে যাবে দারিদ্রতাকে। আমি এমন একটি পৃথিবী কল্পনা করি যেখানে কাজ করার যোগ্য কেউ বেকার থাকবে না, এবং ছাত্ররা থিসিস লিখবে আগেকার দিনে দারিদ্রতা কেন ছিল তা নিয়ে। কেউ রাষ্ট্রের দেয়া ভাতার উপর নির্ভরশীল থাকবে না, কারণ সবাই যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করবে।
সার্টিফিকেটের জন্য অপেক্ষা করবেন না আপনার উদ্যোক্তা হবার জন্য গ্রাজুয়েট বা মাস্টার্স ডিগ্রীর অর্জন করার জন্য অপেক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি যে কোন সময়ই উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে পারেন। আপনি সার্টিফিকেটের জন্য তখনি অপেক্ষা করবেন যখন আপনি চাকরি প্রার্থী। উদ্যোক্তা হতে হলে আপনার সেই পরিমান শিক্ষাই প্রয়োজন যা দিয়ে আপনি আপনার পছন্দের পেশায় কাজ করতে পারবেন।
ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো ডিগ্রি নিয়ে বেরিয়েই একজন শিক্ষার্থী বলছেন, আমাকে চাকরি দিন। কিন্তু এটা বলছেন না যে আমাকে ১০ হাজার ডলার দিন, আমি নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ে তুলব। তাঁর ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণ তিনি তুলে দিচ্ছেন আরেকজনের হাতে। এটা আধুনিক দাসত্ব - ড. মুহাম্মদ ইউনূস