#Quote
More Quotes by Tajuddin Ahmad
আমাদের মূল লক্ষ্য হোল জনগণের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করা।
বক্তৃতা কমাতে হবে। এখন ভেবে দেখতে হবে বক্তৃতায় যা বলা হয়েছে তা করা হয়েছে কিনা। - তাজউদ্দীন আহমদ
ভিতরে ইঁদুর রেখে বাইরে মাটি দিলে সমস্যার সমাধান হবে না। - তাজউদ্দীন আহমদ
লেখাপড়া জানতে হয় নিজের বিবেককে শান দেয়ার জন্য। শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র চাকরি নয়। শিক্ষা দিয়ে বিবেককে উন্নত করার এই ব্রত নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
দূর্নীতি যারা করে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক বয়কট করতে হবে।
মাটি আর মানুষ নিয়ে দেশ-বাংলাদেশ এখন সার্বভৌম, তার মাটি এখন কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কিন্তু মানুষ না থাকলে কাকে নিয়ে রাজনীতি এবং কার জন্যেই বা রাজনীতি। মানুষ যখন মরে যাচ্ছে তখন নিরব দর্শক হয়ে বসে থাকা যায় না।
দেশের কাছে কিছু চাওয়ার আগে দেশকে আপনি কতটুকু দিয়েছেন, তা বিচার করুন। - তাজউদ্দীন আহমদ
স্বাধীনতার জন্যে আমরা যে মুল্য দিয়েছি তা কোন বিদেশি রাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্র হবার জন্য নয়।
পালিয়ে যাবার পথে এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা লাভের চেতনার যে উন্মেষ দেখে গিয়েছিলাম সেটাই আমাকে আমার ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নেবার পথে অনিবার্য সুযোগ দিয়েছিল। জীবননগরের কাছে সীমান্তবর্তী টুঙ্গি নামক স্থানে একটি সেতুর নিচে ক্লান্ত দেহ এলিয়ে আমি সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা হলো, একটি স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার জন্য কাজ শুরু করা।
১৯৭১ সালে আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন যুদ্ধ করতে হয়েছিল তেমনি কূটনৈতিক ফ্রন্টেও যুদ্ধ করতে হয়েছিল আমাদের। প্রশিক্ষণ কর্মসুচি শেষ করার লক্ষ্য ছিল নভেম্বর মাস। কেননা আমি জানতাম বাংলাদেশে বর্ষাকালে পানি নেমে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের পরাস্ত না করতে পারলে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ সফলকাম হবে না এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাও আসবে না। এছাড়া আরও বুঝেছিলাম যে ঐ সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে না যাওয়া হলে মার্কিনীরা তার সুযোগ নেবে এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধকে নিয়ে আসবে বাংলার মাটিতে। কেননা আমেরিকাকে ভিয়েতনাম থেকে সরতেই হবে। আর এ সম্পর্কে আমরা খুবই হুঁশিয়ার ছিলাম।