#Quote

১৯৭১ সালে আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন যুদ্ধ করতে হয়েছিল তেমনি কূটনৈতিক ফ্রন্টেও যুদ্ধ করতে হয়েছিল আমাদের। প্রশিক্ষণ কর্মসুচি শেষ করার লক্ষ্য ছিল নভেম্বর মাস। কেননা আমি জানতাম বাংলাদেশে বর্ষাকালে পানি নেমে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের পরাস্ত না করতে পারলে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ সফলকাম হবে না এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাও আসবে না। এছাড়া আরও বুঝেছিলাম যে ঐ সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে না যাওয়া হলে মার্কিনীরা তার সুযোগ নেবে এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধকে নিয়ে আসবে বাংলার মাটিতে। কেননা আমেরিকাকে ভিয়েতনাম থেকে সরতেই হবে। আর এ সম্পর্কে আমরা খুবই হুঁশিয়ার ছিলাম।

Facebook
Twitter
More Quotes by Tajuddin Ahmad
আমাদের মূল লক্ষ্য হোল জনগণের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করা।
আমরা বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব যা সোভিয়েত রাশিয়া বা চীনের ধরণে হবে না, বরঞ্চ তা হবে আমাদের নিজেদের মত। আমরা গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মধ্যে একটি সুষম সমন্বয় ঘটাব যা বিশ্বে একটি অসাধারণ ব্যাপার হবে।
পালিয়ে যাবার পথে এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা লাভের চেতনার যে উন্মেষ দেখে গিয়েছিলাম সেটাই আমাকে আমার ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নেবার পথে অনিবার্য সুযোগ দিয়েছিল। জীবননগরের কাছে সীমান্তবর্তী টুঙ্গি নামক স্থানে একটি সেতুর নিচে ক্লান্ত দেহ এলিয়ে আমি সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা হলো, একটি স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার জন্য কাজ শুরু করা।
ভিতরে ইঁদুর রেখে বাইরে মাটি দিলে সমস্যার সমাধান হবে না। - তাজউদ্দীন আহমদ
আমাদের বুদ্ধিজীবীরা দেশের সত্যিকার সমস্যা তুলে ধরবেন এবং সমাধানের ইঙ্গিত প্রদর্শন করবেন,এটাই কামনা করি। অন্ধভাবে আমাদের শুধু প্রশংসা করলেই চলবে না। - তাজউদ্দীন আহমদ
কৃষকরা জাতির সম্পদ; আমরা তাদের জন্য গর্ববোধ করি। - তাজউদ্দীন আহমদ
জাতির জন্যে যা কিছু কল্যাণকর তাই আমাদের কাম্য এবং তা গ্রহণ করার মত অবারিত মনও আমাদের থাকা দরকার।
স্বাধীনতার জন্যে আমরা যে মুল্য দিয়েছি তা কোন বিদেশি রাষ্ট্রের উপ-রাষ্ট্র হবার জন্য নয়।
বাংলাদেশের নিরন্ন দুঃখী মানুষের জন্যে রচিত হোক এক নতুন পৃথিবী যেখানে মানুষ মানুষকে শোষণ করবে না। আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক ক্ষুধা, রোগ, বেকারত্ব আর অজ্ঞানতার অভিশাপ থেকে মুক্তি। এই পবিত্র দায়িত্বে নিয়োজিত হোক সাড়ে সাত কোটি বীর বাঙালী ভাই-বোনের সম্মিলিত মনোবল ও অসীম শক্তি। যারা আজ রক্ত দিয়ে উর্বর করছে বাংলাদেশের মাটি, যেখানে উৎকর্ষিত হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন মানুষ, তাদের রক্ত আর ঘামে ভেজা মাটি থেকে গড়ে উঠুক নতুন গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা; গণ-মানুষের কল্যাণে সাম্য আর সুবিচারের ভিত্তিপ্রস্তরে লেখা হোক, ‘জয় বাংলা’, জয় স্বাধীন বাংলাদেশ
শুধু বড় বড় কথা বলে এবং অপরের কাঁধে দোষ চাপিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান করা যায় না। - তাজউদ্দীন আহমদ