#Quote

দারিদ্র্য হল সমস্ত মানবাধিকারের অনুপস্থিতি। নিদারুণ দারিদ্র্যের দ্বারা সৃষ্ট হতাশা, শত্রুতা ও ক্ষোভ কোনো সমাজে শান্তি বজায় রাখতে পারে না। স্থিতিশীল শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের অবশ্যই জনগণকে শালীন জীবনযাপনের সুযোগ দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

Facebook
Twitter
More Quotes by Dr. Muhammad Yunus
আপনার কল্পনাশক্তিকে সীমাবদ্ধ করে ফেলবেন না নিজের কল্পনাশক্তিকে মুক্ত পাখির মতো উড়তে দিন একে সীমাবদ্ধ করে ফেলবেন না। পৃথিবীকে বদলে দেবে এমন কিছু নিয়ে কল্পনা করুন সেটা যতোই অবাস্তব বা উদ্ভট রকমের হোক না কেন। নিজের মনে একটি সামাজিক কাহিনী তৈরী করুন যা কিনা আপনার সম্প্রদায় এবং পৃথিবীকে বদলে দেবে।
দরিদ্ররা যে বেঁচে আছে এটাই তাদের সক্ষমতার স্পষ্ট প্রমাণ।
দারিদ্র্য দূর হয়ে গেলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এর ভয়াবহতা প্রদর্শনের জন্য আমাদের জাদুঘর তৈরি করতে হবে। তারা আশ্চর্য হবেন কেন মানব সমাজে দারিদ্র্য এতদিন অব্যাহত ছিল - বিলিয়ন বিলিয়ন দুঃখ, বঞ্চনা এবং হতাশার মধ্যে থাকাকালীন কয়েক জন মানুষ কীভাবে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পারে।
মানসম্পন্ন শিক্ষার অ্যাক্সেস আমাকে আমি যে বাংলাদেশী গ্রামে বড় হয়েছি তার বাইরেও পৌঁছাতে সক্ষম করেছে।
খুব ছোট আকারে শুরু করুন বড় কিছু তৈরির কল্পনা করুন কিন্তু শুরু করুন খুব ছোট আকারে। যতটা ছোট আকারে সম্ভব হয় শুরু করুন, আপনার এই ছোট পদক্ষেপ বড় কিছুর দিকে আপনাকে ধাবিত করবে। সুতরাং ছোট ছোট পদক্ষেপে পরিবর্তনের পথে নিজেকে চালিত করুন। এটা করাটা কঠিন নয় খুবই সহজ।
আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করা। মানসিকতা আমাদের উপর অদ্ভুত কৌশল খেলে। আমাদের মন আমাদের চোখকে যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে আমরা সেইভাবে জিনিসগুলি দেখি।
সবসময় টাকার কথা চিন্তা করবেন না ব্যবসায় সাফল্য মাপা হয় কে কত টাকা বানাতে পারছে তার উপর। সেই কারণেই ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার কারণে সৃষ্ট সামাজিক প্রভাব নিয়ে চিন্তা করেন না। ব্যবসায়ীদের চিন্তা সবসময়ই টাকা কেন্দ্রিক বা নিজেদের নিয়ে হওয়া উচিত না। মানুষ শুধুমাত্র টাকা বানানোর মেশিন বা রোবট না, আমরা যেমন নিজেদের এবং অন্যদের ভালো মন্দের খেয়াল রাখি তেমনই সারা পৃথিবীর ভালোর জন্যও কাজ করি। ব্যবসায়ীদেরও এই বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত।
আমরা আমাদের ছাত্রদের চাকরি এবং কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করি, কিন্তু তারা কী ধরনের বিশ্ব তৈরি করবে সে সম্পর্কে আমরা তাদের ব্যক্তি হিসেবে ভাবতে শেখাই না।
চাকরিদাতার মতো আচরণ করুন কে আপনাকে বলেছে চাকরির কথা? আপনার শিক্ষক বলেছে না টেক্সট বইয়ে চাকরির কথা লেখা আছে? চাকরির কথা ভুলে যান। চাকরির চিন্তা পুরাতন আমলের ধ্যান ধারণা। এটা থেকে বের হয়ে আসুন। নিজেকে বার বার বলুন আমি চাকরি প্রার্থী নই, আমি চাকরি দাতা এবং সেই মোতাবেক চিন্তা আর আচরণ করুন। আপনি দেখবেন আপনার কাজে অসাধারণ পরিবর্তন এসেছে এবং পরিবর্তনের সুচনা হয়েছে আপনার মাথা আর চিন্তা চেতনা থেকে। আমরা সবাই জন্ম থেকেই উদ্যোক্তা এবং সবার মধ্যে উদ্যোক্তা হবার মতো যোগ্যতাও আছে। এটা আমাদের ডিনএতে আছে এবং এই ক্ষমতা ব্যবহার করেই মানুষেরা এত বছর ধরে এই পৃথিবীতে বসবাস করছে। আমরা যখন গুহাতে থাকতাম তখন আমরা এক গুহা থেকে আরেক গুহাতে চাকরি খুজতাম না। মানুষ জীবনধারণের জন্য উদ্যমী আর সমস্যা সমাধানকারী ছিল, মানুষ জন্ম নেয়নি অন্যের হয়ে কাজ করার জন্য ভুলক্রমে আমাদেরকে চাকরি প্রার্থী বানিয়ে দেয়া হয়েছে। যখনি আপনি চাকরি করা শুরু করেন তখনি আপনি আপনার বিশাল সৃজনশীল ক্ষমতাকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে অনেক কম বানিয়ে ফেললেন।
যদি আমরা একটি কাঙ্ক্ষিত সমাজ কিংবা বিশ্বের কল্পনা করতে না পারি, তাহলে তা কখনোই সত্যি হবে না। সে জন্য আমাদের একটি গন্তব্য দরকার, একটি নির্দেশনা দরকার। তুমি যদি জানো যে তোমাকে কোথায় যেতে হবে, তাহলে তুমি অবশ্যই সেখানে পৌঁছাতে পারবে। তোমার প্রযুক্তি, যোগাযোগ ক্ষমতা তোমাকে সেখানে নিয়ে যাবে - ড. মুহাম্মদ ইউনূস