#Quote
More Quotes by Dr. Muhammad Yunus
পৃথিবীর উন্নয়নের জন্য কাজ করুন আমরা আজকে যেই পৃথিবী কল্পনায় দেখতে পাই সেই পৃথিবী তৈরির জন্য কাজ করা উচিত। আমি যেমন আমার কল্পনায় একটি দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী দেখতে পাই যেখানে একটি মানুষও দরিদ্র নয়। যখন আমি সেটা করতে সমর্থ হবো তখন জায়গায় জায়গায় জাদুঘর তৈরী করা হবে, এবং যেখানে মানুষ তার ছেলে মেয়েকে নিয়ে দেখতে যাবে দারিদ্রতাকে। আমি এমন একটি পৃথিবী কল্পনা করি যেখানে কাজ করার যোগ্য কেউ বেকার থাকবে না, এবং ছাত্ররা থিসিস লিখবে আগেকার দিনে দারিদ্রতা কেন ছিল তা নিয়ে। কেউ রাষ্ট্রের দেয়া ভাতার উপর নির্ভরশীল থাকবে না, কারণ সবাই যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করবে।
দারিদ্র্য হল সমস্ত মানবাধিকারের অনুপস্থিতি। নিদারুণ দারিদ্র্যের দ্বারা সৃষ্ট হতাশা, শত্রুতা ও ক্ষোভ কোনো সমাজে শান্তি বজায় রাখতে পারে না। স্থিতিশীল শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের অবশ্যই জনগণকে শালীন জীবনযাপনের সুযোগ দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
প্রচলিত প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করুন যদি কোন কিছু বুঝতে না পারেন তাহলে ভয় পেয়ে যাবেন না। এটা মনে করবেন না যে কিছু করার জন্য আপনাকে অনেক বুদ্ধিমান হতে হবে। আমাদের মতো বোকা মানুষরাও এমন কাজ করেছে যা কাজে দিয়েছে। এটাই সব থেকে মজার বিষয়। প্রচলিত প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করতে ভয় পেয়েন না। প্রচলিত ব্যাঙ্কগুলো আমাকে সবসময় বলেছে দরিদ্র মানুষদেরকে ঋণ দেয়া সম্ভব নয়, কারণ তাদের ঋণ ফেরত দেয়ার ক্ষমতা নেই। আমি এটা মিলিয়ন বারের চেয়েও বেশি শুনেছি। আমি ভাবলাম, এটা কি আসলেই ব্যাঙ্কগুলোর বলার কথা নাকি দরিদ্রদের বলার কথা যে আসলেই ব্যাঙ্কগুলো মানুষের জন্য কাজ করে কিনা। তাই আমি তারা যা করছে তার উল্টোটাই করলাম। সুতরাং বোকার মতো এবং উল্টা দিকে কাজ করা খারাপ বিষয় নয়।
আপনার কল্পনাশক্তিকে সীমাবদ্ধ করে ফেলবেন না নিজের কল্পনাশক্তিকে মুক্ত পাখির মতো উড়তে দিন একে সীমাবদ্ধ করে ফেলবেন না। পৃথিবীকে বদলে দেবে এমন কিছু নিয়ে কল্পনা করুন সেটা যতোই অবাস্তব বা উদ্ভট রকমের হোক না কেন। নিজের মনে একটি সামাজিক কাহিনী তৈরী করুন যা কিনা আপনার সম্প্রদায় এবং পৃথিবীকে বদলে দেবে।
চাকরিদাতার মতো আচরণ করুন কে আপনাকে বলেছে চাকরির কথা? আপনার শিক্ষক বলেছে না টেক্সট বইয়ে চাকরির কথা লেখা আছে? চাকরির কথা ভুলে যান। চাকরির চিন্তা পুরাতন আমলের ধ্যান ধারণা। এটা থেকে বের হয়ে আসুন। নিজেকে বার বার বলুন আমি চাকরি প্রার্থী নই, আমি চাকরি দাতা এবং সেই মোতাবেক চিন্তা আর আচরণ করুন। আপনি দেখবেন আপনার কাজে অসাধারণ পরিবর্তন এসেছে এবং পরিবর্তনের সুচনা হয়েছে আপনার মাথা আর চিন্তা চেতনা থেকে। আমরা সবাই জন্ম থেকেই উদ্যোক্তা এবং সবার মধ্যে উদ্যোক্তা হবার মতো যোগ্যতাও আছে। এটা আমাদের ডিনএতে আছে এবং এই ক্ষমতা ব্যবহার করেই মানুষেরা এত বছর ধরে এই পৃথিবীতে বসবাস করছে। আমরা যখন গুহাতে থাকতাম তখন আমরা এক গুহা থেকে আরেক গুহাতে চাকরি খুজতাম না। মানুষ জীবনধারণের জন্য উদ্যমী আর সমস্যা সমাধানকারী ছিল, মানুষ জন্ম নেয়নি অন্যের হয়ে কাজ করার জন্য ভুলক্রমে আমাদেরকে চাকরি প্রার্থী বানিয়ে দেয়া হয়েছে। যখনি আপনি চাকরি করা শুরু করেন তখনি আপনি আপনার বিশাল সৃজনশীল ক্ষমতাকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে অনেক কম বানিয়ে ফেললেন।
মানুষ গরিব ছিল না কারণ তারা বোকা বা অলস ছিল। তারা সারাদিন কাজ করত, জটিল শারীরিক কাজ করত। তারা দরিদ্র ছিল কারণ দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি প্রশস্ত করতে সাহায্য করেনি।
আজও আমরা দারিদ্র্য ইস্যুতে গুরুত্ব দিই না, কারণ ক্ষমতাবানরা তুলনামূলকভাবে এর দ্বারা অস্পৃশ্য থাকে। বেশিরভাগ মানুষ এই বলে নিজেদেরকে এই সমস্যা থেকে দূরে রাখে যে যদি দরিদ্ররা কঠোর পরিশ্রম করে তবে তারা দরিদ্র হবে না।
সভ্য মানব সমাজে দারিদ্র্য নেই। এর উপযুক্ত স্থান একটি জাদুঘরে। এটা যেখানে হবে.
আমি তরুণদের সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোক্তা হতে এবং শুধু অর্থ উপার্জনের পরিবর্তে বিশ্বে অবদান রাখতে উত্সাহিত করছি। অর্থ উপার্জন কোন মজা নয়. বিশ্বে অবদান রাখা এবং পরিবর্তন করা অনেক বেশি মজাদার।
দারিদ্র্য হল সমস্ত মানবাধিকারের অনুপস্থিতি। নিদারুণ দারিদ্র্যের দ্বারা সৃষ্ট হতাশা, শত্রুতা ও ক্ষোভ কোনো সমাজে শান্তি বজায় রাখতে পারে না।