#Quote
More Quotes by Ahmed Sharif
যে সামাজিক ক্ষেত্রে ও যে দেশে আইনের নিজস্ব শাসন নেই, যে দেশে আইন কেবল ক্ষমতাশীলদের কথা শুনে, সেদেশে বা সে সমাজে মানবাধিকার পদে পদে লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়।
দার্শনিকদের দৃষ্টিতে যাই হোক, সর্বজনীন এর উপলব্ধি ইচ্ছা ও ভালোবাসায় বিভেদ সল্প। এবং দার্শনিকদের দৃতিতে দুটোই দৃঢ় জয়শীল।
সমস্ত ধরনের খুন করা নিঃসন্দেহে খুবই নিন্দনীয়। কিন্তু ধর্মের নামে, বর্ণের নামে, গোত্রের নামে, সাম্প্রদায়ের নামে মানুষকে খুন করা সবচেয়ে ঘৃণিত।
প্রকৃতির নিয়মই যেসব কিছু পুরাতন হয়, সেগুলোকে জড়তা ও জীর্ণতা জড়িয়ে ধরে, ধ্বংসের বির্জ তার কাজে নিযুক্ত। কাজেই নতুনের অমোঘ প্রতিষ্ঠা ও প্রসার একসময় অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
ছোটো ও নিকৃষ্ট পূর্ণাঙ্গতার গৌরভ ও তাৎপর্য দেওয়াটাই সাহিত্যধারীদের বিশেষ কাজ।
ধর্ম মানুষের উদ্ভবনী শক্তির একটি বিস্ময়কর আবিষ্করণ। ধর্ম মানুষের আত্মার উথলে ওঠার ভাব, বাসনার উচ্ছৃঙ্খলতা, স্পৃহার অজেয়, ব্যাবহারের নিয়ন্ত্রণহীনতা, ভাবনার স্বতন্ত্রতা, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণার বহুবর্ণময়, নানান এক নিয়ম অনুযায়ী ধাপে চালিয়ে নিয়ে গিয়ে যন্ত্র-বিশারদ ক্ষেত্রতত্ত্বতে সীমাবদ্ধ রাখে।
বাণী বা বার্তা প্রদানকারীকে খুন করা, কিন্তু বাণী বা বার্তাকে মোটেও নয়।
জ্ঞানই শক্তির, ক্রমোন্নতি ও মানুষ্যমৈত্রীর প্রধান উৎস
আপাত দৃষ্টিতে দুর্নীতিবাজরাই কিন্তু দুর্নীতির দুর্নীতি বলে চিৎকার করে বেশি
পড়াশুনায় জ্ঞান বৃদ্ধি হয়, স্বভাব গঠিত হয় না। পুঁথিগত পাঠের প্রভাব বিষয় মূলক কাজের নিপুণতা, হৃদয় ও মানসিক অবস্থার চালিকা শক্তি নয়। পুঁথিগত জ্ঞান যেন জলের মতো পাতলা পদার্থ, যে ভাণ্ডারে নিবিষ্ট হয়ে থাকে, সেই ভাণ্ডারেই আকৃতি পায়, অথবা তা সুলেমানি আংটির মনিবের উদ্দেশ্য পূরণের সাহায্যকারী মাত্র। ব্যক্তিগণ পুঁথিগত বিদ্যার আজ্ঞাবহ হয় না, বিদ্যাকে আজ্ঞাবহ করে বিশেষ লক্ষ বা উদ্দেশ্য সম্পাদনের কাজে লাগায়। এই তরেই জ্ঞান শক্তিমত্তা রীতি নয়।