আজকে রাতে তোমায় আমার কাছে পেলে কথা বলা যেত; চারিদিকে হিজল শিরীষ নক্ষত্র ঘাস হাওয়ার প্রান্তর।

---

মনে পড়ে কবেকার পাড়াগাঁর অরুণিমা স্যানালের মুখ; উড়ুক উড়ুক তারা পউষের জ্যোৎস্নায় নীরবে উড়ুক কল্পনার হাঁস সব — পৃথিবীর সব ধ্বনি সব রং মুছে গেল পর উড়ুক উড়ুক তারা হৃদয়ের শব্দহীন জোছনার ভিতর। - জীবনানন্দ দাশ

---

সব ছেড়ে দিয়ে আমি তোমারে একাকী ভালোবেসে, তোমার ছায়ার মতো ফিরিয়াছি তোমার পিছনে।

---

আরম্ভ হয় না কিছু — সমস্তের তবু শেষ হয় — কীট যে ব্যর্থতা জানে পৃথিবীর ধুলো মাটি ঘাসে তারও বড় ব্যর্থতার সাথে রোজ হয় পরিচয়! যা হয়েছে শেষ হয়; শেষ হয় কোনোদিন যা হবার নয়! - জীবনানন্দ দাশ

---

সকল কঠিন সমুদ্রে প্রবাল লুটে তোমার চোখের বিষাদ ভৎসনা,প্রেম নিভিয়ে দিলাম,প্রিয়।

---

পৃথিবীর সব ঘুঘু ডাকিতেছে হিজলের বনে; পৃথিবীর সব রূপ লেগে আছে ঘাসে; পৃথিবীর সব প্রেম আমাদের দু'জনার মনে; আকাশ ছড়ায়ে আছে শান্তি হয়ে আকাশে !

---

তোমার হৃদয় আজ ঘাস :বাতাসের ওপারে বাতাস - আকাশের ওপারে আকাশ। - জীবনানন্দ দাশ

---

কী কথা তাহার সাথে? - তার সাথে! আকাশের আড়ালে আকাশে মৃত্তিকার মতো তুমি আজ : তার প্রেম ঘাস হয়ে আসে। - জীবনানন্দ দাশ

---

পেঁচার ধূসর পাখা উড়ে যায় নক্ষত্রের পানে — জলা মাঠ ছেড়ে দিয়ে চাঁদের আহ্বানে বুনো হাঁস পাখা মেলে — শাঁই শাঁই শব্দ শুনি তার; এক —দুই —তিন —চার —অজস্র —অপার —।

---

কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঠাঁলছায়ায়; হয়তো বা হাঁস হব কিশোরীর ঘুঙুর রহিবে লাল পায়, সারা দিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধ ভরা জলে ভেসে ভেসে; আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে। - জীবনানন্দ দাশ

---