#Quote
More Quotes by Mahasweta Devi
অনিন্দ্য বিশ্বাসঘাতকতা করেছে – এটাই আসল কথা। আমরা অন্য কোনো দল ছেড়ে আসিনি। আমাদের মন ইতিমধ্যেই বদলে গিয়েছিল, অনিন্দ্য দ্বিতীয় দল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। এটা শোনা কথা এবং কারো পরামর্শ থেকে এসেছে।
সময় শোকের চেয়ে বলশালী। শোক তীরভূমি, সময় জাহ্নবী। সময় শোকের ওপর পলি ফেলে আর পলি ফেলে। তারপর একদিন প্রকৃতির অমোঘনিয়ম অনুযায়ী, সময়ের পলিতে চাপা পড়া শোকের ওপর ছোট ছোট অঙ্কুরের আঙুল বেরোয়। অঙ্কুর। আশার-দুঃখের-চিন্তার-বিদ্বেষের। আঙুলগুলো ওপরে ওঠে, আকাশ খামচায়। সময় সব পারে।
কুন্তীর হাত তার পাতলা, বৃদ্ধ, হাতির দাঁতের রঙের আঙুলে আঁকড়ে ধরে গান্ধারী ফিসফিসিয়ে বললেন, "শান্ত হও, শান্ত হও, হে পাণ্ডবদের মা!" শান্ত হও। সময় চক্রাকারে ঘুরছে, রথের চাকার মতো ঘুরছে। আমাদের জীবনচক্র সঙ্কুচিত হচ্ছে। শীঘ্রই এটি কেবল একটি বিন্দুতে পরিণত হবে। এবং অবশেষে সেই বিন্দুটিও শূন্যে মিশে যাবে। হ্যাঁ, হে প্রবীণ, নিজেকে খুব বেশি দোষারোপ করো না। যতই চেষ্টা করো না কেন, তুমি কখনো অতীতকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না, গতকালকে কখনো আগামীতে পরিণত করতে পারবে না। দেখো, আজকের সূর্যোদয় বাস্তব ছিল, সূর্যাস্তও তাই ছিল। আমরা ঘুমিয়ে পড়ব কিন্তু সময় চলতেই থাকবে। এবং আগামীকাল, এটি আমাদের আরও একটি সূর্যোদয় দেবে।
সময় শোকের চেয়ে বলশালী। শোক তীরভূমি, সময় জাহ্নবী। সময় শোকের ওপর পলি ফেলে আর পলি ফেলে। তারপর একদিন প্রকৃতির অমোঘনিয়ম অনুযায়ী, সময়ের পলিতে চাপা পড়া শোকের ওপর ছোট ছোট অঙ্কুরের আঙুল বেরোয়। অঙ্কুর। আশার-দুঃখের-চিন্তার-বিদ্বেষের। আঙুলগুলো ওপরে ওঠে, আকাশ খামচায়। সময় সব পারে।
যা ভালো লাগে না তাকে কর্তব্য বলে। সব সময় আপনার দায়িত্ব পালন করেন, তাই না?
কিছুই শান্ত হয়নি?" 'না, তা হয়নি। কেন তারা মারা গেল? কি শেষ? মানুষ কি সুখী? রাজনীতির খেলা কি শেষ? এটা কি আরও ভালো পৃথিবী?
জীবন গণিত নয় এবং মানুষ রাজনীতির জন্য তৈরি হয়নি। আমি বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই এবং কেবল দলীয় রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
অন্ধকূপে বাস করলে মানুষের ইন্দ্রিয় ছুরির ডগা মত তীক্ষ্ণ হয়
সময় ফিরে পাওয়া যায় না। সময় চলে যায় নির্মম, ঘাতক, নিয়তিসমান সময়। সময় জাহ্নবী, শোক বেলাভূমি। সময়ের স্রোতে শোকের ওপর পলিমাটি চাপা পড়ে। তারপর একদিন সেই পলিমাটি ফুঁড়ে নতুন নতুন অঙ্কুরের আঙুল বেরোয়। আঙুলগুলো আকাশপানে আবার উঠতে চায়। আশার, বেদনার, সুখের, আনন্দের অঙ্কুরের আঙুল।
এই মানুষগুলো সম্পূর্ণ নির্বাসিত। আধুনিক ভারত থেকে তারা কিছুই পায়নি। এই ধাতব রাস্তাটি তাদের কাছে এসেছে ভালপুরা এবং রাজৌরার সেই মহাজনদের স্বার্থে যারা তাদের ফসল ছিনিয়ে নিয়ে ঋণ আদায় করবে, সেই ধৈর্যশীল গ্রাহকরা যারা শকুনের মতো অপেক্ষা করে সেই মুহূর্তের জন্য যখন ক্ষুধার্ত বাবা-মা তাদের সন্তানদের হতাশার চরমে বিক্রি করে দেবে এবং মৃতদেহ খেতে বাধ্য হবে, সেই শ্রমিক ঠিকাদারদের অগ্রণী লোকেরা যারা 'দশ টাকা এবং পেট ভরে' প্রলোভন দেখিয়ে আদিবাসীদের তাদের দাস বানাবে।