More Quotes by Ahmed Sharif
পূর্বপুরুষের অতুন সম্পদের আস্ফালনে ভিক্ষাজীবী বংশধরের লাভ? - আহমদ শরীফ
দেশপ্রেমের পরিমাণ অনেক বেশি গভীর হলেই, নিজের জীবনের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করা যায়।
ধর্ম খারাপ আত্মাকে করে সংযমন, ভালো আত্মা গুলিকে রাখে সঙ্কুচিত করে, খুশিকে করে দুষ্প্রাপ্য, অসন্তোষ কে করে চিরকাল ধরিয়া, অনুভবকে করে নিরব, দুঃখকে করে দৃষ্টিহীন, উপলব্ধি হয় অবয়বশূন্য আর হয় খুবই কম, শক্তিশালী ও শক্তিহীন, জ্ঞানবান ও অশিক্ষিত, সহায়ক ও দুরন্ত সমভাবেই থাকে।
যার নিজস্ব আত্ম-মর্যাদাবোধটাই নেই, সে সর্ব ক্ষেত্রে মাথা হেট করে চলে থাকে।
পীড়নের মাধ্যমে যে প্রশান্ত, আতঙ্ক-ত্রাস, সন্ত্রাস-সংহার মাধ্যমে যে সমাজবদ্ধ-প্রদেশিক প্রশান্তির কথা কিছু অধ্যাত্মবাদী কল্পনা করে থাকে, তা কবরের শান্তিপূর্ণ অবস্থার সাথে উপমেয়
চলন্ত জীবনে অগ্রসর মানেই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। আর সামনের দিকে গেলেই জায়গা ও সময়কে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে হয়। অর্থাৎ পুরাতনকে ত্যাগ ও আধুনিককে স্বীকারের নামই হলো ক্রমোন্নতি। আর সকলেই জানে অগ্রগতিই জীবন ও ষষ্ঠীতে প্রাণত্যাগ। আর এগিয়ে যাওয়া মানেই প্রকৃতিগত অগ্রসরণ। প্রাচীন হচ্ছে বিগত, আর অভিনব মানেই হলো ভবিষ্যতের নিদর্শন।
পড়াশুনায় জ্ঞান বৃদ্ধি হয়, স্বভাব গঠিত হয় না। পুঁথিগত পাঠের প্রভাব বিষয় মূলক কাজের নিপুণতা, হৃদয় ও মানসিক অবস্থার চালিকা শক্তি নয়। পুঁথিগত জ্ঞান যেন জলের মতো পাতলা পদার্থ, যে ভাণ্ডারে নিবিষ্ট হয়ে থাকে, সেই ভাণ্ডারেই আকৃতি পায়, অথবা তা সুলেমানি আংটির মনিবের উদ্দেশ্য পূরণের সাহায্যকারী মাত্র। ব্যক্তিগণ পুঁথিগত বিদ্যার আজ্ঞাবহ হয় না, বিদ্যাকে আজ্ঞাবহ করে বিশেষ লক্ষ বা উদ্দেশ্য সম্পাদনের কাজে লাগায়। এই তরেই জ্ঞান শক্তিমত্তা রীতি নয়।
ধর্ম মানুষের উদ্ভবনী শক্তির একটি বিস্ময়কর আবিষ্করণ। ধর্ম মানুষের আত্মার উথলে ওঠার ভাব, বাসনার উচ্ছৃঙ্খলতা, স্পৃহার অজেয়, ব্যাবহারের নিয়ন্ত্রণহীনতা, ভাবনার স্বতন্ত্রতা, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণার বহুবর্ণময়, নানান এক নিয়ম অনুযায়ী ধাপে চালিয়ে নিয়ে গিয়ে যন্ত্র-বিশারদ ক্ষেত্রতত্ত্বতে সীমাবদ্ধ রাখে।
নাগরিক বা জনসাধারণকে শিক্ষিত ও সুনাগরিক হিসেবে বানিয়ে তোলার মধ্য দিয়েই একমাত্র সম্ভব সাম্প্রদায়িকতার ও হিংসার বিষদাঁত ভেঙে ফেলা।
মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে যেমন সামাজিক, তেমনি রাষ্ট্রিক জীবনেও মানুষের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছার মতো খাঁটি সম্পদ, সার্থক সঞ্চয়, অক্ষয় পুঁজি ও নির্ভরযোগ্য পাথেয় আর কিছুই নেই। এই প্রীতির পরিচর্যা ও শুভেচ্ছার অনুশীলনই মানুষকে মানববাদী করে। দেশে দেশে মানবতাবাদীরা সংখ্যাগুরু হয়ে না উঠলে আজকে মানবিক সমস্যার সমাধান অসম্ভব।