#Quote

স্ত্রীরা কখনােই পােষ মানে না। নিজেকেই পােষ্য করে নিতে হয়। সুখে থাকার কায়দা।

Facebook
Twitter
More Quotes by Sanjib Chandra Chattopadhyay
এখন সমাজ অসুস্থ, মানুষ অসুস্থ, তাই কলমেও হাসি আসে না।
জীবন মানেই ঝোড়ো হাওয়া কনক, জীবন মানেই ঝড়। করার কিছু নেই।
এ বাড়িতে কাউকে খাওয়াতে হলে তাকে একেবারে খাইয়ে শেষ করে দেওয়া হয়। খেতে খেতে তিনি একসময় কেঁদে ফেলেন। হাত জাড় করে বলতে থাকেন, “বিশ্বাস করুন, আমি আর পারছি না। আমার পেটে আর জায়গা নেই! আমি পেট ফেটে মরে যাব!
গাড়ি যেমন পেট্রোলে চলে, মানুষ তেমনি চলে আশীর্বাদে। পূর্বপুরুষরা আশীৰ্বাদ না করলে জীবনকে চালাতে হয় ঠেলে ঠেলে।
বন্যরা বনে সুন্দর,শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
দুঃখ যত গভীর, ততই বাক্যের অতীত।
পুরো ব্যাপারটাই নিখাদএকমাত্র ভেজাল কোনটা ভালোবাসা।পৃথিবীর খাঁটিগাওয়া ঘিয়ের মতোই পুরোটা ভেজাল।
সন্যাসী বলেছিলেন, ‘এখন বুঝবি না, পরে বুঝবি, জন্ম আর মৃত্যু বলে কিছু নেই। আছে গভীর থেকে অগভীরে ভেসে ওঠা। মনে রাখ কথাটা, পরে মিলিয়ে নিস, গভীর থেকে অগভীরে ভেসে ওঠা, আবার গভীরে তলিয়ে যাওয়া।
সব বড় বড় মানুষেরই ছোট ছোট একটা শুরু থাকে। সেই হাফপ্যান্ট পরে স্কুলে যাওয়া। পেটাই হওয়া। নিলডাউন। দু’কান ধরে বেঞ্চের ওপর দাড়ানো। অভাব, দুঃখ, কষ্ট কত কী খেতে ইচ্ছে করে, পয়সা নেই। কত কী পরতে ইচ্ছে করে, পয়সা নেই। তারপর টিউশনি করে পড়ার খরচ তোলা। তারপর মা সরস্বতীর কৃপায় সে-কী পরীক্ষার ফল। ফাস্ট, ফ্লাস্টক্লাস, গোল্ড মেডেল। ডব্লু বি সি এস, আই এ এস। জজ, ম্যাজিষ্ট্রেট, ব্যারিস্টার। এই জজসায়েব, মেজমামার মুখে যা শুনেছি, হারিকেনের আলোয়, চালাবাড়িতে রাত জেগে লেখাপড়া করেছেন, আর দিনের বেলায় কলেজ করেছেন, ছাত্র পড়িয়েছেন।
যাহার বাটীতে যাইতেছি, তাহার সহিত আমার কথনও চাক্ষুষ হয় নাই। তাহার নাম শুনিয়াছি, সুখ্যাতিও যথেষ্ট শুনিয়াছি ; সজ্জন বলিয়া তাহার প্রশংসা সকলেই করে। কিন্তু সে প্রশংসায় কর্ণপাত বড় করি নাই, কেন না বঙ্গবাসীমাত্রই সজ্জন; বঙ্গে কেবল প্রতিবাসীরাই দুরাত্মা, যাহা নিন্দা শুনা যায় তাহা কেবল প্রতিবাসীর। প্রতিবাসীরা পরশ্রীকাতর, দাম্ভিক, কলহপ্রিয়, লােভী, কৃপণ, বঞ্চক। তাহারা আপনাদের সন্তানকে ভাল কাপড়, ভাল জুতা পরায়, কেবল আমাদের সন্তানকে কাঁদাইবার জন্য। তাহারা আপনাদের পুত্রবধূকে উত্তম বস্ত্রালঙ্কার দেয়, কেবল আমাদের পুত্রবধূর মুখ ভার করাইবার নিমিত্ত। পাপিষ্ঠ প্রতিবাসীরা! যাহাদের প্রতিবাসী নাই, তাহাদের ক্রোধ নাই। তাহাদেরই নাম ঋষি। ঋষি কেবল প্রতিবাসি-পরিত্যাগী গৃহী। ঋষির আশ্রমপার্শ্বে প্রতিবাসী বসাও, তিন দিনের মধ্যে ঋষির ঋষিত্ব যাইবে। প্রথম দিন প্রতিবাসীর ছাগলে পুষ্পবৃক্ষ নিষ্পত্র করিবে। দ্বিতীয় দিনে প্রতিবাসীর গােরু আসিয়া কমণ্ডলু ভাঙ্গিবে, তৃতীয় দিনে প্রতিবাসীর গৃহিণী আসিয়া ঋষি-পত্নীকে অলঙ্কার দেখাইবে। তাহার পরই ঋষিকে ওকালতির পরীক্ষা দিতে হইবে, নতুবা ডেপুটি মাজিষ্ট্রেটীর দরখাস্ত করিতে হইবে।