#Quote

দীপ্ত বিশ্ববিজয়ী! বর্শা তোলো । কোন ভয়? কেন বীরের ভরসা ভোলো? নয়নে ঘনায় বারে বারে ওঠাপড়া? চোরাবালি আমি দূর দিগন্তে ডাকি? হৃদয় আমার চড়া?

Facebook
Twitter
More Quotes by Bishnu Dey
জীবনের ছন্দ এক, শিল্পের ছন্দ আর এক; শিল্পের মধ্যে জীবনকেই যদি মূর্ত করিয়া ধরিতে চাই, তবুও জীবনের গতিভঙ্গীকে হুবহু শিল্পের গতিভঙ্গীর মধ্যে তুলিয়া ধরিতে পারি না। জীবনকে শিল্পের মধ্যে তুলিয়া ধরিতে হইলেই দরকার একটা রূপান্তর পাশ্চাত্যে ইহার নাম দিয়াছে —এই রূপান্তরের অর্থই শিল্পগত সৌন্দর্য।
বন্ধুত্বের পারস্পরিকতায় যে কথা মুখে বলা যায়, সে কথা কাগজের শীতল প্রকাশ্যতায় লেখা অর্থহীন।
ভাষার একটা স্বাভাবিক স্থিতিপ্রবণতার জন্য রচনার গতিতে আসে দ্বিধা। গতিতে গা ভাসালে অবশ্য খুঁটিতে বাঁধা মনের দ্বিধাও নিষ্প্রয়ােজন। সজীব রচনাতে তাই শিল্পী ও শিল্পবস্তু, বিষয় ও টেকনিকে টান পড়ে জ্যা বদ্ধ ধনুকের টংকারে ধনু ও ছিলা টানের
বিচার দেয় খণ্ডের অনুভূতি, এক সময়ে একটি জিনিসের এক রকম জ্ঞান, কিন্তু বিবেকে পাই গোটার অনুভূতি, এক সময়ে এক জিনিসের বা বহু জিনিসের বহুল রূপের জ্ঞান এক বহু বহুধা’র সমন্বয় সম্মিলন হইতেছে বিবেকের জ্ঞান।
কবিতা তাে লেখাই হয় কাজের শব্দের প্রায় অবচেতন অর্থাৎ খনিকটা ব্যক্তির বাইরে নিজস্ব তাড়নায়। ভাষার প্রকাশ্য সত্তা শক্তি পায় কবিতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কথার এই চেতন-অবচেতন সঞ্চারিত ধ্বনি ফল্গুস্রোতে।
লৌকিক সংস্কৃতির আকর্ষণ যেন জীবন্ত মানুষকে আমাদের জাদুঘরের সামগ্রী না করে তােলে।
সমালোচনা এখন বিজ্ঞাপনের মূর্তি ধারণ করেছে। তার থেকে বোঝা যায় যে, যাতে বাজারে বইয়ের ভালোরকম কাটতি হয় সেই উদ্দেশ্যে আজকাল সমালোচনা লেখা হয়ে থাকে নারী বাদ।
বিষয় হিসাবে, আমরা চাহিতেছি বটে জ্ঞান আরও জ্ঞান, কিন্তু জ্ঞানের বস্তু অপেক্ষা আমাদিগকে বেশি অনুপ্রাণিত করিতেছে অনুসন্ধান, অনুসন্ধানের আবেগ জ্ঞানের সাধক হইয়াও, এই উপলব্ধিটি, আমরা কখনোও ছাড়াইয়া উঠিতে পারি না যে, সকল জ্ঞানই পরিশেষে আপেক্ষিক, সকল জ্ঞানই সাময়িক এবং দেশিক ; তবুও চাহিয়াছি সেই জ্ঞান, একটা চির অতৃপ্তির জের টানিয়া ক্রমাগত চলিয়াছি এক জ্ঞান হইতে আরেক জ্ঞানে। জানি চিরন্তন অনন্ত সত্য কিছু নাই—আছে আজকার এখনকার সত্য, তাহার স্থানে আসিবে কালিকার ওখানকার সত্য—এইরকম সত্যের ক্ষণিকের কাহিনি হইল আর সত্য।
শান্তি অন্তরের ইন্দ্রিয়কে, বাহিরের ইন্দ্রিয়কে উদার প্রসারিত করিয়া ধরে, আর এইজন্যই সেখানে আসিয়া ধরা দেয় অন্তরের অসীমের স্বাচ্ছন্দ্য। শান্তির মধ্যেই গাঢ় হইয়া জমিয়া উঠে একটা আত্মস্থ সামক্ষ্য শান্তি স্বচ্ছতা দৃষ্টিকে লইয়া চলে গভীর হইতে গভীরে।
শিল্পী জানে, কবি জানে, যেহেতু প্রেমিক তারা তাই জানে দ্বন্দ্বের যন্ত্রণা, জানে সমাধা দুরূহ, তবু আশা দুর্মর।