কি দিয়েছি আর কি পেয়েছি তার হিসেব করতে গেলে তো আর দেশকে ভালোবাসা যাবে না। দেশকে ভালোবাসতে হয় নিঃস্বার্থ ভাবে। (জীবন থেকে নেওয়া) — জহির রায়হান

---

আকাশের রঙ বুঝি বারবার বদলায়।

---

ধীরে ধীরে রাত বাড়তে লাগলো। চাঁদ হেলে পড়লো পশ্চিমে। উঠোনের ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলো। পরীর দীঘির পারে একটা রাতজাগা পাখির পাখা ঝাপটানোর আওয়াজ শোনা গেলো। রাত বাড়ছে। হাজার বছরের পুরনো সেই রাত। (হাজার বছর ধরে) — জহির রায়হান

---

আমার সোনার দেশের, সোনার মাটিকে কলঙ্কিত হতে দিতে চাইনা বলেই তো দেশ দেশ করি, মাটির কথা বলি। (জীবন থেকে নেওয়া) — জহির রায়হান

---

কালো মেয়ে সন্ধ্যার কালোয় হারিয়ে যাবে।

---

দু-নম্বর কেরানির টেবিল থেকে বড় সাহেবের চেম্বারে আসতে হলে মাত্র ঊনিশটি পদক্ষেপের প্রয়োজন। কিন্তু এর মধ্যে আকাশ-পাতাল কত কিছুই-না চিন্তা করেছে কাসেদ। চাকরির প্রমোশন থেকে বরখাস্ত কোনো কিছুই বাদ যায়নি। — জহির রায়হান

---

আশ্চর্য মানুষের মন। সে যে কখন কি চায় তা নিজেও বলতে পারে না। কিসে তার সুখ আর কিসে তার অসুখ এর সত্যিকার জবাব সে নিজেও দিতে পারে না কোনদিন।

---

মা, রোজ পাঁচ বেলা যার কাছে মাথা ঠোকো, তাকে ভুলেও কি একবার জিজ্ঞেস করতে পারো না এত সাধ-আহ্লাদ দিয়ে যদি গড়েছেন তোমাদের, সেগুলো পূরণ করার মতো সামর্থ্য কেন দেননি ? (বরফ গলা নদী) — জহির রায়হান

---

ছেলেটার বোধহয় কেউ মারা গেছে। তাই শোঁক করছে খালি পায়ে হেঁটে। কেউ বললো, কে জানে এটা নতুন ফ্যাশনও হতে পারে। আজকাল কত রকমের ফ্যাশন যে দেখি।

---

আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো - জহির রায়হান

---