হয়তো তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি নয় তো গিয়েছি হেরে থাক না ধ্রুপদী অস্পষ্টতা কে কাকে গেলাম ছেড়ে। - হেলাল হাফিজ

---

এক বুক সুখ নিয়ে ঘুমিয়ে গেলে নাকি? আমি বরাবরই তোমার থেকে আলাদা। এক বুক দুঃখ নিয়ে সারারাত জেগে থাকি। - হেলাল হাফিজ

---

আকালের এই কালে সাধ হলে পথে ভালোবেসো,ধ্রুপদী পিপাসা নিয়ে আসো যদি লাল শাড়িটা তোমার পড়ে এসো । - হেলাল হাফিজ

---

আমাকে উস্টা মেরে দিব্যি যাচ্ছো চলে,দেখি দেখি বাঁ পায়ের চারু নখে চোট লাগেনি তো; ইস্‌! করছো কি? বসো না লক্ষ্মীটি, ক্ষমার রুমালে মুছে সজীব ক্ষতেই এন্টিসেপটিক দুটো চুমু দিয়ে দেই। - হেলাল হাফিজ

---

অসম্ভব ক্ষুধা ও তৃষ্ণা ছিলো,সামনে যা পেলো খেলো,যেন মন্বন্তরে কেটে যাওয়া রজতজয়ন্তী শেষে এসেছে সে

---

হয় তো কেটেছে তার মায়া ও মমতাহীন সজল শৈশব অথবা গিয়েছে দিন এলোমেলো পরিচর্যাহীন এক রঙিন কৈশোর,নাকি সে আমার মত খুব ভালোবেসে পুড়েছে কপাল তার আকালের এই বাংলাদেশে। - হেলাল হাফিজ

---

কবির জীবন খেয়ে জীবন ধারণ করে কবিতা এমন এক পিতৃঘাতী শব্দের শরীর,কবি তবু সযত্নে কবিতাকে লালন করেন,যেমন যত্নে রাখে তীর জেনে-শুনে সব জল ভয়াল নদীর। - হেলাল হাফিজ

---

ঘরের কষ্ট পরেরর কষ্ট পাখি এবং পাতার কষ্ট দাড়ির কষ্ট চোখের বুকের নখের কষ্ট, একটি মানুষ খুব নীরবে নষ্ট হবার কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট। - হেলাল হাফিজ

---

তুমি কি জুলেখা, শিরী, সাবিত্রী, নাকি রজকিনী?চিনি, খুব জানি তুমি যার তার, যে কেউ তোমার,তোমাকে দিলাম না – ভালোবাসার অপূর্ব অধিকার। - হেলাল হাফিজ

---

তাবিজ! এ কেমন তাবিজ করেছো সোনা, ব্যথাও কমে না, বিষও নামে না । - হেলাল হাফিজ

---