#Quote
More Quotes by Rudra Mohammad Shahidullah
পাঁচশো পঞ্চান্ন মার্কা আধ-খাওয়া একটা সিগারেট প্রথমে স্পর্শ করলো তার বুক। পোড়া মাংসের উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো ঘরের বাতাসে। জ্বলন্ত সিগারেটের স্পর্শ তার দেহে টসটসে আঙুরের মতো ফোস্কা তুলতে লাগলো।
চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয় চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না-থাকা জুড়ে
শেষমেশ যে যার সন্ধার কাছে ফিরে যায়, যে যার অন্ধকারের কাছে।
হয়েছো গোপন ঘুন, শাঁস কাটো লুকায়ে ভেতরে – পুড়ে মরি, কেমনে গো আমি তারে বাইরে দ্যাখাবো!
জেগে আছি, জেগে আছি- যতদূরে যাও জেনো রাত্রির ঘরে আমারো একখানা জানালা আছে, চৈত্রের সব পাখি- সব ফুল- সব প্রতীক্ষারা এই নিশব্দ জানালার কাছে নত হয়ে আসে অঙ্গের সুষমা খুলে যায় সৌরভরাশি। - রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
মনে হয় একদিন কাক – জোস্নায় তুমিও দরােজা খুলে ফিরে আসবে।
তার দশটি আঙুল- যে-আঙুলে ছুঁয়েছে সে মার মুখ, ভায়ের শরীর, প্রেয়সীর চিবুকের তিল। যে-আঙুলে ছুঁয়েছে সে সাম্যমন্ত্রে দীক্ষিত সাথীর হাত, স্বপ্নবান হাতিয়ার। - রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
উচিত ছিলো শোবার ঘরে শাড়ির বাঁধন খুলতে গিয়ে আমায় দেখে মুখ লুকানো লজ্জারাঙা স্নিগ্ধ হাসা আঁচল তলে । কিন্তু কপাল তোমার বাড়ি এখান থেকে সেই কতদূর, পুরোপুরি বিশটি মিনিট খরচ কোরে পৌঁছতে হয় এবং যেটা বলতে বাধে তোমার কাছে যেতে হলেই এই বাজারে পুরোপুরি পাঁচটি টাকা। - রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
কথা ছিলো রক্ত-প্লাবনের পর মুক্ত হবে শস্যক্ষেত, রাখালেরা পুনর্বার বাশিঁতে আঙুল রেখে রাখালিয়া বাজাবে বিশদ। কথা ছিলো বৃক্ষের সমাজে কেউ কাঠের বিপনি খুলে বসবে না,চিত্রল তরুণ হরিনেরা সহসাই হয়ে উঠবে না রপ্তানিযোগ্য চামড়ার প্যাকেট। - রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
অথচ দ্রাক্ষার রসে নিমজ্জিত আজ দেখি আরশিমহল, রাখালের হাত দুটি বড় বেশি শীর্ণ আর ক্ষীণ, বাঁশি কেনা জানি তার কখনোই হয়ে উঠে নাই। - রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ